ডেস্ক নিউজ: বড় ছেলে তারেক রহমানের জন্মদিনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেট কেটে দিনটি উদযাপন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জন্মদিনের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে ৫৩ পাউন্ডের কেক কাটেন বিএনপি নেত্রী। এর আগে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে পৃথকভাবে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ঢাকা মহানগর বিএনপি (উত্তর ও দক্ষিণ) ও মহিলা দলেরসহ মোট ৮টি কেক কাটেন বিএনপি প্রধান।
পরে তারেক রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন খালেদা জিয়া। তিনি ছেলেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন।
কেক কাটার অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন কাদের চোধুরী শওকত মাহমুদ, জয়নাল আবেদীন, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কাজী আবুল বাশার, উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আহসানউল্লাহ হাসান, যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের রাজিব আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও কেক কাটার অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আজ ২০ নভেম্বর ৫৩ বছরে পা দিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দলটির বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। এক এগারোর সরকারের সময়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে এখন পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে স্বপরিবারে থাকছেন বিএনপির এই নেতা।
তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর। ডাক নাম পিনু। ঢাকার শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তবে তিনি পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব হোসেনের বড় মেয়ে ডা. জোবাইদার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারেক।
১৯৯১ সালে বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির সদস্য পদ লাভের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক প্রবেশ করেন তিনি। ১৯৯৬ সালে জেলা বিএনপির সদস্য হন। ২০০২ সালে তারেক রহমানকে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। বর্তমানে তারেক রহমান দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
গত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেককে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উচ্চ আদালত থেকে প্যারোলে জামিন পেয়ে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে স্বপরিবারে লন্ডনে যান। লন্ডনে থাকা অবস্থায় ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর দলের জাতীয় কাউন্সিলে তাকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালের মার্চের কাউন্সিলে তাকে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের পাশাপাশি স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়। তারেক রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখনো যুক্তরাজ্যেই অবস্থান করছেন। সঙ্গে আছেন স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।